ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সামর্থ্য থাকলে এবং শরীর সুস্থ থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হজ্ব অবশ্য পালনীয়।
বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ্ব করা যায়। বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর অনেক মানুষ হজ্ব পালন করতে যান।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :: সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিরা ছাড়া অন্য কেউ এবার হজ্ব পালন করতে পারবেন না। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার এক ঘোষণায় বলা হয়, দেশটিতে বসবাসরত খুবই সীমিত সংখ্যক মানুষ এবার হজ্ব পালনের সুবিধা পাবেন।
প্রতি বছর হজ্ব মৌসুমে আনুমানিক প্রায় কুড়ি লাখ মানুষ হজ পালন করেন। এর আগে আশংকা করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার হজ্ব বাতিল করতে পারে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৌদি আরবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের সীমিত সংখ্যক মানুষ নিয়ে এবারের হজ্বে অংশ নিতে পারবেন। সৌদি আরবে এ পর্যন্ত এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১,৩০৭ জন মানুষ মারা গেছেন।
এর আগে সুরক্ষার জন্য মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব। এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ্ব সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়। মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল।
একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল। সৌদি আরব মাত্র কয়েকদিন আগে দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহার করে।
বাংলাদেশ থেকে ২০২০ সালে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হজে যাওয়ার কথা ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার। তবে এবার শুধুমাএ সৌদিতে অবস্থানরত দেশি বিদেশিরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।